Suhita Sinha Roy, Suhita Saha before marriage, was two years my senior at college. A bright student, she was tall, slim, beautiful, and a basketball player. But more importantly, she had a beautiful mind. I consider myself fortunate to have found a place among the circle of her close friends. I called her Suhita-di.
Suhita-di did exceedingly well in MA a few weeks after her father passed away after long illness. I think adversity brought out the best in her, just as it does for all strong and capable people. From her MA until her passing, Suhita-di battled multiple incurable diseases. They were so serious that—I believe—lesser mortals would have given up long ago. But Suhita-di kept working at government colleges in different places, managed the family alone when her husband was away on a foreign posting, and managed to do a PhD when she was in her forties / fifties after doing rigorous field work in rural Bengal. Her life came to an end when she was in her early sixties.
A fascinatingly well-written recollection of memories by her daughter Mallarika, which I read just now, did two things. It brought back the poignant memories of Suhita-di, and threw light on an unknown facet of her beautiful life.
Here is a lightly edited translation of Mallarika’s story followed by the original in Bangla. By the way, Mallarika followed her mom in the academic world. After doing her PhD from Oxford, she taught at a Danish university before coming back to teach at JNU. I have a mild suspicion that she won’t sue me for lifting her story without permission.
*
During the three months my mother lived after her retirement, she ran a free elementary school in our parking lot, which is the entire ground floor of our apartment building. The nursery began with story-telling sessions for just one child, the five-year old son of Sandhya, our domestic help then and now. The boy was so hyper-active that Sandhya could neither leave him at home nor take him to the homes she worked in.
Ma began to engage him by telling stories, so that Sandhya could work in our home in peace. In a few days, our caretaker’s four-year-old daughter Bulti joined, pulled in by the stories. Then ma decided to teach them a few nursery rhymes, which allowed Sandhya and Bulti’s mom Aparna an hour more of freedom. The message spread in the neighbourhood; four more kids of working mothers joined Ma’s nursery soon.
Post breakfast, Ma would sit down on a chair in the parking space, as the children sat before her. Ma would drink tea; the kids would munch biscuits. The teacher was a Dida to all the kids. The grandpa was then tasked to bring in slates, pencils, and cloth seats for the pupils. Ma used to teach them Bangla vowels, got them to memorise rhymes, and told them stories. At the end, the children would stand up, join their tiny hands in a namashkar, and sing a hymn: “In this promising morning, let’s go to our Father’s home,” or “We are all kings in the kingdom of our king.” As the half a dozen kids sang with all their might, it created quite a racket in the neighbourhood.
Their mothers too knew it was time to take the toddlers home.
Ma was an atheist. After her passing, we did not perform any religious ritual. There was a memorial meeting attended by ma’s friends and colleagues, where songs were sung and people recollected their memories of Ma.
On the following day, Baba, my husband Baidik, and I invited Ma‘s little students and two of my nephews of their age for luchi and sandesh. We pushed the sofas to a side of our drawing room and spread a sheet for the guests to sit down and eat. At one side of the room, there was a framed photo of Ma with a garland made of white flowers. Every one of the pupils joined their hands to pay respect to their dida and sat cross-legged on the bedsheet to eat luchi, tearing them with both hands with much glee. The little angels also sang for their departed dida. I have rarely experienced the happiness that I felt during that miniscule party.
Two days later, I was to return to my place of work. The nursery had to be closed down. Dad said he didn’t have the expertise to keep little children engaged. The mothers of the children were sad. As I was packing my bags, our caretaker’s daughter Bulti came in with a clean-shaven head. When I asked her mother Aparna why she had had shaved her girl’s head when the summer was months away, she said after some hesitation, ‘You don’t believe these things, but we do. Bulti’s dida was close to us all, wasn’t she? We called a priest and offered a small puja through Bulti, and got her head shaved as instructed by the priest.’
I kissed Bulti’s clean crown and thought, beyond the world of her mother’s beliefs, her dida would have accepted her offerings happily. And for me, my atheist mother, after having gotten merged with the elements, came in as a gust of breeze in the early spring to sway the red oleander tree in front of our home.
*
আমার মা রিটায়ার করার পর যে তিনমাস বেঁচে ছিলেন তার মধ্যে তিনি একটি অবৈতনিক পাঠশালা খুলেছিলেন আমাদের ফ্ল্যাট বাড়ির নীচের গ্যারাজে। পাঠশালা শুরু হয়েছিল একটিমাত্র পড়ুয়াকে গল্পবলা দিয়ে। আমাদের বাড়িতে সন্ধ্যা ঘর-মোছা, কাপড়-কাচার কাজ করত (এখনো করে) এবং সে ছিল আমার মায়ের সব কাজের ডান হাত। তার ছোট ছেলেটির তখন বছর পাঁচেক বয়স। সে এমনি দুরন্ত ছিল যে সন্ধ্যা তাকে না পারত বাড়িতে রেখে আসতে, না পারত সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাজ করতে। মা তখন শুরু করলেন তাকে গল্প বলে বসিয়ে রাখতে, যাতে সন্ধ্যা আমাদের বাড়ির কাজটা নিশ্চিন্তে করতে পারে। মায়ের গল্প বলার এমনি গুণ যে কদিন বাদেই আমাদের কেয়ারটেকার অপর্ণার চার বছরের মেয়ে বুলটিও হাজির গল্প শোনার জন্য! মা তখন ঠিক করলেন ওদের মুখে মুখে দু চারটে ছড়া ইত্যাদি শেখাবেন আরও অন্তত ঘণ্টাখানেক ব্যস্ত রাখবেন যাতে সন্ধ্যা এবং অপর্ণা নিজের নিজের কাজের বাড়িতে কাজ করে আসতে পারে। এই বার্তা ধীরে ধীরে পাড়ায় রটি গেল। আরও জনা চারেক গৃহশ্রমে কর্মরত মায়েদের দুষ্টু ছোট্ট ছানারা মায়ের পাঠশালায় ঢুকে পড়ল। মা সকালের খাবার খেয়ে এক খানা চেয়ার নিয়ে গ্যারাজে বসতে লাগলেন সকলকে সঙ্গে নিয়ে। মা চা খান, তারা বিস্কুট খায়। খেয়ে নিয়ে পাঠশালার কাজ শুরু হয়। মা সবকটি শিশুর 'দিদা'। শিশুদের 'দাদু' কে প্রত্যেকের জন্যে একখানা ছড়ার বই একটি করে স্লেট পেন্সিল এবং একটি কাপড়ের আসন কিনে আনতে হল। মা তাদের স্বরবর্ণ শেখাতেন, ছড়া মুখস্ত করাতেন, গল্প বলতেন আর সবার শেষে সবাই উঠে দাঁড়িয়ে, দু-হাত জোড় করে চেঁচিয়ে গাইত 'আজি শুভদিনে পিতার ভবনে' অথবা 'আমরা সবাই রাজা'। ছয়-সাতটি শিশুর প্রাণপণ গান গাওয়ায় পাড়ায় বেশ শোরগোল পড়ত আর তাদের মায়েরাও তখন পাঠশালা ছুটি হয়েছে বুঝে এসে তাদের নিয়ে যেত।
মা মারা যাবার পর আমরা কোন ধর্মীয় মতেই কোন পারলৌকিক কাজ করি নি। মা নাস্তিক ছিলেন। একটি স্মরণসভা হয়েছিল। মায়ের বন্ধু এবং সহকর্মীরা এসেছিলেন। গান আর স্মৃতিচারণ হয়েছিল সেদিন।
তারপর দিন আমরা, অর্থাৎ আমি, বাবা আর বৈদিক মিলে মায়ের পাঠশালার বাচ্চাদের আর তাদের প্রায় সমবয়সী আমার দুই বোনপোকে লুচি সন্দেশ খাইয়েছিলাম। আমাদের বসার ঘরে চেয়ার, সোফা সরিয়ে চাদর পেতে মাটিতে খাবার আয়োজন হয়েছিল। ঘরের এক প্রান্তে মায়ের ছবিতে মালা দিয়ে রাখা ছিল। পাঠশালার পড়ুয়ারা সবাই এসে ছবিতে নম করে মাটিতে বাবু হয়ে বসে দুহাত দিয়ে লুচি ছিঁড়ে ভারি আনন্দ করে খেয়েছিল। সেইসব শিশু ভোলানাথ-লক্ষ্মী-সরস্বতীরা তাদের দিদা র জন্য গানও গেয়েছিল। আমার জ্যাঠতুত আর পিসতুত দিদি লুচি ভেজে দিয়েছিল। তাদের ছেলেরা একসঙ্গে পঙক্তি ভোজনে বসে দিব্যি লুচি-সন্দেশ খেয়েছিল। ঐ ক্ষুদ্র ভোজ-সভাটির মত আনন্দ আমি খুব কম পেয়েছি।
এইসবের দিন দুয়েক বাদে আমি কাজের জায়গায় ফিরে যাবো। পাঠশালা বন্ধই করে দিতে হল। বাবা বললেন অতটুকু বাচ্চাদের মনোযোগ আকর্ষণ করে রেখে গল্প বলে যাবার পারদর্শিতা তাঁর নেই। পড়ুয়াদের মায়েরা আমার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করলে। যেদিন ফিরে যাবো বলে বাক্স প্যাঁটরা গোছাচ্ছি সেইদিন দেখি আমাদের নীচতলার বুলটির মাথা নেড়ু মুণ্ডি! কি ব্যপার? তার মাকে বললাম এই ফেব্রুয়ারিতেই মাথা না কামিয়ে গরম পড়লে কামালেই হত। বুলটির মা অপর্ণা একটু কিন্তু কিন্তু করে বললে, 'তোমরা তো এইসব মানো না, কিন্তু আমরা মানি। বুলটির দিদা তো আমাদের সকলেরই আপনজন, তাই পুরুতমশাইকে ডেকে একটা ছোট পূজা দিয়েছি বুলটির হাত দিয়ে আর পুরুত মশাইয়ের কথা মত ওর মাথা কামিয়ে দিয়েছি।'
বুলটির ন্যাড়া মাথায় চুমো খেয়ে ভাবলাম বুলটির মায়ের বিশ্বাসের যে পরপার সেইখানে বুলটির দিদা প্রসন্ন হাতেই বুলটির পূজা গ্রহণ করেছেন। আর আমার নাস্তিক পঞ্চভূতে মিলিয়ে যাওয়া মা প্রথম বসন্তের এক ঝলক বাতাস হয়ে রক্তকরবীর গাছে দোল দিয়ে গেছেন।
Translated on 23 May 2023
Hosur, Krishnagiri District, TN
No comments:
Post a Comment
I will be happy to read your views, approving or otherwise. Please feel free to speak your mind. Let me add that it might take a day or two for your comments to get published.