Swapna Chaudhuri
[On the Internet, we often come across brilliant writing by nameless authors. I often read wonderful writing on my friend Swapna's Facebook wall. Here is a translation of one of her pieces, followed by the original]
The other day, Manju, one of my colleagues – she is an amazing singer – said with a touch of deep sadness in her voice, ‘Swapna, tell me, what have I done all these years? Nothing!’
I said, ‘even Rabindranath said, “Sadly, nothing has been done.”’
And that started me thinking. True, I’ve lived long, but done nothing. But in the autumn of my life, the song by Tagore is indeed a soothing salve on my utter futility. And there is some consolation: we can look at it from another point of view.
The immortal writer Tarashankar Bandopadhyaya’s oeuvre is fascinatingly diverse and powerful. His novel “Ganadevata” (God among People) is an eternal jewel in Bangla literature.
How many educated Bengalis have read it?
In every short story, Jagadish Gupta fascinates us with his ability to bring in the unexpected in a myriad ways. How many Bengalis read him? I suspect that after a few generations, no one will read his work.
I ask my husband’s students if they have heard Dhananjay Bhattacharya. The question of listening to his songs doesn’t arise; they haven’t even heard his name! But I always thought some of his songs would transcend generations.
Abdul Karim Khan and Bade Ghulam Ali are two fulcrums of Indian classical music. But I’ve seen, even those who’re learning khayal haven’t heard their names.
Let me stop, there is no point in extending this sad story.
However, in my pointless life, they are my greatest solace. Should people read me, or Shirshendu Mukhopadyaya? Who will listen to my khayal when no one has time for Veena Sahasrabuddhe, Malini Rajurkar, or Kumar Gandharva?
I am insignificant but happy. God hasn’t blown His bugle for me. But has given me boundless, profound peace.
08 September 2017
এক অনুভব
=======
সেদিন মঞ্জু, আমার সহকর্মী, অসাধারণ গায়িকা গভীর মর্মবেদনায় বলে উঠল,"স্বপ্না, কি করলাম বলতো! কিছুই তো করা হল না।" আমি উত্তর দিলাম এই বলে যে, স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ গাইছেন,'কিছুই তো হল না,হায়'?!
তো বসলাম ভাবতে।আজ জীবনসায়াহ্নে রবীন্দ্রনাথের এ গান আমার অপদার্থতায় সান্ত্বনার প্রলেপ তো বটেই। সত্যিই তো, কিছুই করা হয়ে উঠল না এ দীর্ঘ জীবনে। তবে সান্ত্বনা-ভাবনা আরও আছে,এই ভরসা।
অমর কথাশিল্পী তারাশঙ্কর--কি শক্তিশালী অসাধারণ বৈচিত্র্যময় তাঁর রচনাসম্ভার!'গণদেবতা' বাংলা সাহিত্যের এক চিরন্তন সম্পদ। কিন্তু শতকরা কতজন বাঙালি সে লেখা পড়েন বা পড়েছেন?
জগদীশ গুপ্ত-তাঁর প্রতিটি গল্পে কি অতর্কিত বৈচিত্রাঘাত, কি সমৃদ্ধ তাঁর গল্পগুলি! কতদিন বাঙালি পড়বে তাঁর রচনা? এই বঙ্গে তো আর দুটি জেনারেশন এর পর বাংলা সাহিত্যের পাঠক পাওয়া যাবে কিনা আমার সন্দেহ আছে।
অধ্যাপকের ছাত্র দের প্রশ্ন করলাম, ধনঞ্জয় ভট্টাচার্যের গান শুনেছেন কিনা। গান? নাম ই জানেনা। আমি ভাবতাম তাঁর 'চামেলী মেলোনা আঁখি' বা 'এমন মধুর ধ্বনি' একেবারে কালজয়ী।
আবদুল করিম খাঁ সাহেব বা বড়ে গোলাম আলী খাঁ সাহেব ভারতীয় সঙ্গীতের দুই প্রধান স্তম্ভ। দেখেছি খেয়াল শিক্ষার্থীরাও অনেকে এঁদের নাম ও শোনেনি।
এ দুঃখের আলোচনা দীর্ঘায়িত করতে পারি তবে লাভ নেই তাতে। আমার এ তুচ্ছ জীবনে পরম সান্ত্বনা এঁরাই। শীর্ষেন্দুর বই পড়বে না আমার? কেন লিখব? বীণা সহস্রবুদ্ধে, মালিনী রাজুরকর,কুমার গন্ধর্বের খেয়াল শোনার লোক নেই আমার খেয়াল কে শুনবে?সময় থাকতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে পারলে হয়তো মানুষের কাজে লাগত! তুচ্ছ আমি,সুখী আমি! দুঃখের পথে আমার নীরব তূর্য জ্যোতির্ময় হতে দেয়নি আমায়! বড় শান্তি, নিবিড় আরাম।
এ দুঃখের আলোচনা দীর্ঘায়িত করতে পারি তবে লাভ নেই তাতে। আমার এ তুচ্ছ জীবনে পরম সান্ত্বনা এঁরাই। শীর্ষেন্দুর বই পড়বে না আমার? কেন লিখব? বীণা সহস্রবুদ্ধে, মালিনী রাজুরকর,কুমার গন্ধর্বের খেয়াল শোনার লোক নেই আমার খেয়াল কে শুনবে?সময় থাকতে বৈজ্ঞানিক গবেষণা করতে পারলে হয়তো মানুষের কাজে লাগত! তুচ্ছ আমি,সুখী আমি! দুঃখের পথে আমার নীরব তূর্য জ্যোতির্ময় হতে দেয়নি আমায়! বড় শান্তি, নিবিড় আরাম।